দৌপদীর বস্ত্রহরণ -মধু মঙ্গল সিনহা

দৌপদীর বস্ত্রহরণ

-মধু মঙ্গল সিনহা
১)
নুয়া বসন্ত
-মধু মঙ্গল সিনহা

নুয়া বসন্তর লগে আহের- ফুলর গতে জাবুরিয়া গুলা
দূরেইত হেইনু বনে কোকিলর রুহনে
মন বিবুলা করের বারে বারে।
গাঙহা্র বুকগৎ আমার মান্ডবগ
কাদাদে যারগা শনিছড়ার লিকলিকা পানি।
বসন্তর রাঙা ফুলে বুজিল তেরার বনহান,
ফুল ফুটের বনে বনে ভ্রমরার রুহনে।
বেনি বুরানির কালে মিঙালহান লুকারগা
আঁধারর গুলার মাঝে।
_________________________
২)
খৈতঙগ কেলুইল
-মধু মঙ্গল সিনহা

আজি কবিতা আহিরী সমুদ্রহানর পারগো বুরিয়া,
তাপ্প তাপ্প মোরে সকতই বুলিয়া।
বাহানা পানা বারো দেখে নুয়ারানির কাজে
মোরে শূন্যের কাদাৎ ডাখিরী বারে বারে।
কবি বারো কবিতার ব্যাকরণ,
বিছারতে বিছারতে খৈতঙগ কেলুইল আজিকা।
________________________

৩)
আইনে উঠিয়া
-মধু মঙ্গল সিনহা

তি আকমাও আইনে উঠিয়া -
তোরে ডাখের মোর জনম জনমর কবিতা।

৪)
তোর গজে আজি কিত্তাঔ নাবে
- মধু মঙ্গল সিনহা

মি হাগহানরে চেয়া মাতুরিতা –
‘বাহ্, কতিঔ ডাঙর ইছৎতা তি!’
হাগহানে মুকশী দিয়া মাতের মোরে-
‘মিঔ সমুদ্রহান চেয়া মাতুরি বারে বারে-
তোর বুকগৎ এতাহাবি উচপা উচপা ঢেউ !’
সমুদ্র-হানরে বারো মাতের মোরে-,
‘এতাতে কিত্তাঔ নাবে গিরক-
চা তি আকমাঔ ওরে ফুল অতারে,
কতি বিচিত্র রঙর হারৌপার খেলা’।
ফুল অতাই বারো মাততারা মোরে-
‘নানা আমারতাতে কিতা,হাগর তারারে
চা তি , কতি ঝিরিক মিরিক করের তা’।
মি বিবুলা ইয়া মাতুরি হাবিরে,
‘হাগহান, সমুদ্র, ফুলর তেঙ্কল না তারাদল;
হাবিত্ত ডাঙরতা কিতা মাতো তুমি মোরে?
হাবিয়ে মুকশী মুকশী দিয়া মাত্তারা মোরে-
‘আকতাঔ নাবে তোর মনহান বৌবরনহান,
নাইলে তোর গজে আজি কিত্তাঔ নাবে’!
___________________________________

৫)
রকতে লেখকা আমার ইতিহাস
- মধু মঙ্গল সিনহা

জ্বিগ লাগিছিল সমুদ্রর গজে,
জ্বিগ লাগিছিল বরনর পানিৎ ।
জ্বিগ লাগিছিল সুদেষ্ণার রকতে-
ইমাঠার রক্ষা করানির সালে।
জ্বিগ আছিল গোকুলানন্দর
এলা কবিতার খল্লিকে খল্লিকে।
জ্বিগ নেই জীবন অতাতে কিতা;
খেয়া জিঙতা অনা পাখিয়ার দেখি?
যুদ্ধ করো তুমি ন্যায়র সালে,
অন্যায় বেলিয়া আহো হাবি।
রকতে লেখকা আমার ইতিহাস
রাতি শিঙনা ভাত ঘুম বেলিয়া।
____________________________
৬)
না লাগের সাম্রাজ্যবাদ
          -মধু মঙ্গল সিনহা

ইমাই মোরে হাতে হাতে কানে কানে মাতিরী,
‘মি হাগহান হাপদিয়া হারৌয়ে ফুরদিতৌ আজি;
চের চিরুনির দেখি বাধিয়া না থয়ো তুমি মোরে।
কোকিলর কন্ঠস্বরে নুংশিপা ওয়ারী হুদ্দা নাবে-
জাতর বিপর্যয় ইছিল যেদিন লোকতাকর পাড়ে;
অদিন দিয়া ছিলু এলা মাদই-সরারেল অলইয়া।
চিয়ৌপা খরানে ডুক গিলানি নুয়ারলাঙ অদিন,
বিবস্ত্র ইছিলু মি জিপুতর সালে জুনাকর মিঙালে।
কোন খেইপা খেইপি নেয়ক, নেয়ক অভিমান
হাব্বিঔ আমারতা আহক সেইত্য-হবা জ্ঞান।
রাজা- মাদই হাব্বি মোর গারিগোর ইড়া-পিংলা
ভাষার মাঝে রাজা কর্কশ ইলেও, মাদই কঙানা
নিজরে পালকরতে দ্বিয়োতাও সমান বারো মান্না।
টুকাটুকি ঠেলাঠেলি ভাষাৎ আকতার সাম্রাজ্যবাদ,
বানানর দেইমি সেইমি চেই কুঙগো কুঙহাত
বেলাদেই হাব্বিতা, তুমি বেলাদেই দুষ্ট পক্ষপাত।
বারো তিলুইলে হাব্বি আমার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী,
একতা ইলে হারপিতাও আকিগই চারি কুড়ি।।
____________________________________


৭)
সীমাহীন হপন
-মধু মঙ্গল সিনহা

কোন নাদেখিন লুরি আহাসনো
বাদিয়া থুয়াছে মোরে-
হৃদিগোঔ নাচের তালে বেতালে।
বাহানা নুংশির ফুল সাতর,
গোলাপী গতে কন্নাকন্নি করিয়া।
আগই ডাকলো মোরে-
‘আই সীমাহীন হপনে জাবুরিকগা,
হতাশার টেঙরা লালয়া’।
________________________________


8)
- মাতিছিলে মোরে-
                     -মধু মঙ্গল সিনহা
তি মাতিছিলে মোরে , তোর মনহান হারপানির কাজে!
কিন্তু, তি নামাতলে - কিছারে হারপিতু মি তোরে?
তোর হৃদির ভিতরে লিশিং লিশিং টুকারার হাদিত-
কোঙ টুকারাহান মোরহান, না হাব্বি?
চেইখেই মেংসেলর হতরঙ হৃদিগর বারেদে জানার পথনৌ নাপাঔরি-
ইমে মি মরে টুকারা টুকারা করে দেখুরি!
কাকেই কারে কারে ফৌইলুগা বন্ধ দুয়ার আহানর মুঙে,
ঙাকুইয়া চাঔরি এহান হমানিরহান না নুকুলানিরহান।
_______________________________________________

৯)
দৌপদীর বস্ত্রহরণ
- মধু মঙ্গল সিনহা

মি দ্রৌপদী!
হস্তিনাপুরর রাজ সভাৎ, মিমৎ করিছিলা যেদিন এ পৄথিবীর অবলার সন্মান -
নিংশিং ইয়া চেই - অদিন-দুর্যোধন আসি জবর হারু ইছিলা,
মোর ফুতি নেই হুদালা মাহু দেখানির খৌরাঙে ।
লিচেৎ থিপা দুর্যোধনর, আদেশ পেয়া-
দুঃশাসনে জনম জনমর বক মিটানির সালে করানি অকরলো, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ।
মি যজ্ঞাসেনী!
আতজোড় করিয়া হাবিরাং মান ভিক্ষা চাছিলু কাঁদে কাঁদে-
কিন্তু কানা নাইল কিত্তাইয়ৌ
ভীষ্ম, বিদুর, দ্রোণাচার্য- হাব্বি চুপ।
মোর পঞ্চস্বামী মহাবীর গুনী নাহিলা আকগৌ তাঙি নিজর সন্মান জিংতা করাৎ;
জাঙে আতে ধরিয়া কিত্তাতৌ কানা নাইল শকুনির ছলনাৎ ।
অসহায় , অবলা আগোর দুঃখ যন্ত্রনার কথা হারপানির হত্না না করলো কুরুরাজাই অদিন,
সভাহান বুজ্জে মাল্পা মুনি, হাবিয়ে তিলুইয়া দ্রৌপদীরে চি য়ৌপা অপমান করানি।
খেন্তামে দুর্যোধন আছি মুকছি মুকছি দিয়া - আতর তালি দিলা।
হাব্বির থতাৎ নামাতিন কথা,বজ্রর সমান অপমান,
হারপিলু ! লালসা হাব্বিরতাও আছে- দেহরক না হৌরক।
ধর্মান্ধ যুধিষ্ঠির আঁখিথম জিপিয়া থাইল-
তার মুঙে তার সহধর্মীণি দ্রৌপদীর, লাক নেই বিপদে ।
পথ নাপেইয়া মি ডাখানি অকরলু,
“হে গোবিন্দ! তি কুরাং আছৎতা; মোরে রক্ষা কর আজি,
এরে নরপশু এতার হাদিত্ত ।
পারলে তি মাতেদে প্রভু- আসলে মোর দোষহান কিহান?
কোন অপরাধে মোর পিদনর ফুতিহান কারুনলাতা অদিন রাজসভার মুঙে।

WhatsApp Google Map

Safety and Abuse Reporting

Thanks for being awesome!

We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!

Have a great day!

Are you sure you want to report abuse against this website?

Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support